Wednesday, October 3, 2018

কবিতা

ডায়েরির পাতায় তুমি

ইমরান হোসেন রিয়াদ


নিস্তব্ধ রাতে
বসে আছি পড়ার টেবিলে
হাতে তোমার ডায়েরি টা।
বাহিরে আকাশের দিকে তাকালাম
আকাশ টা অন্ধকার
মাঝে মাঝে মূদু ঠান্ডা বাতাস
বেশ উপভোগযোগ্য।
তখন ও
হাতে তোমার ডায়েরি টা।
এই অন্ধকার তুমি আমার হাত ধরে আছো
আর বলছো এই অনেক রাত হয়েছে
এবার ঘুমাতে চল।
আঁখি খুলে দেখি
হাতে তোমার ডায়েরি টা।
রাতের আঁধারে ঢাকা
আকাশ কে বিদায় জানিয়ে
আমার শয়ন কক্ষে আসি
তখনো হাতে তোমার ডায়েরি টা।
নিদ্রায় শেষ হল রাত খানি
প্রভাতের আলো চড়িয়েছে চারদিকে
হঠাৎ জাগ্রত হলাম
হাতে তোমার ডায়েরি টা।

Tuesday, September 18, 2018

শামীম খান যুবরাজের ছড়া

ধূমপায়ী বন্ধুর প্রতি
শামীম খান যুবরাজ


ব্যাটা তুই অস্থির
নিঃশ্বাস স্বস্তির-
ফেলে যা,
হাতের ওই সিগারেট
এক্ষুণি ছেড়ে দিয়ে
ডাস্টবিনে ঢেলে যা।

তুই ব্যাটা মন্দ
গায়ে তোর গন্ধ
শিশুদের কাছ থেকে
দূরে যা,
পরিবেশ রক্ষায়
বিবেকটা নড়ে যদি
সিগারেট গুঁড়ে যা।

সিগারেট ছেড়ে দিয়ে ভাই রে
আয় মিলে দুইজনে গাই রে
জীবনটা সুন্দর, প্রোজ্জ্বল
পৃথিবীর নেয়ামত রোদ-জল
সবকিছু আমাদের জন্য,
মিলেমিশে হাত ধরে
ভালো ভালো কাজ করে
আয় করি জীবনটা ধন্য।

তরুন ছড়াকার জনি হোসেন কাব্যর ছড়া

গরম বেড়ে যাক
জনি হোসেন কাব্য


মুখোমুখি দুটি ফ্ল্যাটে তোমার আমার বাস,
এক দেখাতেই হয়ে গেল ভালো লাগার চাষ।
এটা ওটা ভেবে উদাস সময় কেটে যায়,
দিনের আলো নেভার আগে আসতে বারান্দায়।
নরম মনে খুব চেয়েছি একটা কিছু হোক,
অবসানটা ভেঙ্গে হঠাৎ পড়লো চোখে চোখ।

চলেই গেলে! দিলটা আমার হয়ে গেল ভাগ,
জানি না কী পেয়েছিলে লজ্জা নাকি রাগ?
কপাল খারাপ। সেদিন থেকে পাইনি দেখা আর,
পর্দাগুলোও টেনে দিলে দরজা জানালার।

দিন গড়াতেই নীল পৃথিবীর বেড়ে গেল তাপ,
সকল পর্দা খুলে দিলো তোমার ভালো বাপ।
বসলো বাতাস এলো চুলে এবং পুরো গায়,
আমার বাসা থেকে কী যে দারুণ দেখা যায়!

চাই না শীতল বৃষ্টি নামুক, চাই না মেঘের ডাক,
তোমায় দেখার জন্যে আরো গরম বেড়ে যাক।
x

খান মুহাম্মদ মুস্তফার কবিতা

কোন এক সন্ধে-

খান মোহাম্মদ মোস্তফা


প্রিয়ান্তিকা তুমি এসো, এসো কোন এক সন্ধে
নিভৃতে নির্জনে লুকোচুরি খেলবো দু'জনে
তারারাও লুকিয়ে যাবে আমাদের আড়াল দিতে
বাঁকা চাঁদও লজ্জায় লুকিয়ে রবে মেঘের আড়ালে।

প্রিয়ান্তিকা তুমি সে-দিন নীলা শাড়ী গায়ে দিও
নীলাকাশের সণে মিলে যাবে তুমি নীলরঙে
আমিও হারিয়ে যাব তোমার প্রেম আকাশে
প্রেমের মিতালী খেলবো দু'জনে দূর আকাশে।

প্রিয়ান্তিকা তুমি নগ্ন পায়ে আলতা মেখে
শিশিরজলে ভিজতে ভিজতে এসো
আমি মালা গেঁথে দিব তোমায় নীলপদ্ম দিয়ে
লাগবে তোমায় বেশ ভাল আমার হৃদয়-আকাশে। 

তোমার নপুরের ছন্দেবন্ধে বাজবে প্রেমসংগীত
নাচবে পাখিরা রন্ধ্রে রন্ধ্রে কোকিলের কুহুকুহু তানে 
আমিও হারিয়ে যাব তোমার সারা অঙ্গে অঙ্গে
এসো তবে এসো প্রিয়ান্তিকা আমার প্রেমসাগর নীরে।

ভাঙ্গনের রীতি

ভাঙ্গনের রীতি

আনজানা ডালিয়া

ভাঙ্গনের সুর এখন আর বুকে তোলপাড় হয়না
রয়ে সয়ে ভাঙ্গনও প্রয়োজন আছে
বৈচিত্র্যময় হয় জগতের সব সুন্দর।
মাঝে মাঝে সময় অপ্রতিরোধ্য হয়ে সামনে দাড়ায়
কিছু সময় ভাঙ্গনের করুণ সুরও স্বপ্ন জাগায়
ইচ্ছে করে ছেঁটে আরো ভাঙ্গুক
ভাঙ্গনটা গভীর আর নিখুঁত হোক।
জীবনের দায়ভারে,
স্বপ্নের কাঁটাকুটিতে,
ভাঙনের নাম শিখেছি,
ভাঙনের হাতেখঁড়ি হয়েছে।

Monday, August 20, 2018

ছুঁইওনা আমায় লজ্জায় মরে যাবো



আনজানা ডালিয়া


সোঁনালী রোদ্দুরের জোয়ারে
দুপাশে লজ্জাবতী ঘেরা মেঁঠো পথে

উষ্ণতারে এঁকে,
কষ্ট বিরহকে ঢেঁকে,
আঁকে লজ্জাবতীর জীবন।
কতদিন ছোঁয়া হয়নি তার হাত,
গাঁথা হয়নি আঙ্গুল ভাঁজে,
ঠোঁটগুলো হয়নি হিম লাজে,
বন্ধিত করেনি অনুরক্ত নিবিড়ে
লজ্জাবতীর বনটা ছুঁয়ে দিতেই
ঢলে পড়ে ঘোর পরাজয়ে।
দুলে উঠে বলে-
ছুঁইওনা আমায়,
লজ্জায় মরে যাবো,
তোমার প্রিয়াকে ছোঁও।

সাহিত্য পাতা

কবিতা

ডায়েরির পাতায় তুমি ইমরান হোসেন রিয়াদ নিস্তব্ধ রাতে বসে আছি পড়ার টেবিলে হাতে তোমার ডায়েরি টা। বাহিরে আকাশের দিকে তাকালাম আকাশ...