Sunday, December 31, 2017

কখন আসবে তুমি

কখন আসবে তুমি

আনজানা ডালিয়া


ফিঁঙের মতো নাচবে যেদিন,
বউ কথা কও গাইবে যেদিন,
উঠোন কোনে ডালিম ডালে
দেখো ইস্টিকুটুম ডাকবে সেদিন।
সেদিনই তোমার আঙিনায়
আমার একপায়ের নূপুর খুইয়ে আসবো।
রেখে আসবো হৃদয়ের খিলটা
তোমার বাড়ির আগ দুয়ারে।
সেদিন আমার ঝিলের শালুকগুলো
কড়া রঙে সাজবে,
খিলখিলিয়ে হাসবে।

Thursday, December 28, 2017

কেন যে মানুষ হলাম

কেন যে মানুষ হলাম

আনজানা ডালিয়া


ঝড়ো হাওয়া হলামনা কেন?
দিতাম এক ঝটকায় তোমার
জেল মাখা চুলগুলো এলোমেলো করে
কপট রাগে আঙুল চিরুনীতে ভাজে বসাতে।
হতাম যদি ধারালো রেজার
প্রতি ভোরে ছুঁতাম যত্নে দুগাল।
একুরিয়ামের সোনালী ঘোমটার মাছ হলেও
দিতে তুমি দুবেলা দুমুঠো দানা ছিটিয়ে নিজ হাতে।
আর কিছু না হই, ন্যাপথলিন তো হতে পারতাম
প্রতিটা শার্টের ভাজে বসাতে আদরে,
তোমার গন্ধ গায়ে মাখতাম।
কেন যে মানুষ হতে গেলাম
নিয়মে,নিষেধে বাঁধো প্রতি প্রতিক্ষনে।

Saturday, December 23, 2017

আমার না থাকার ভান্ডার পরিপুর্ন

আমার না থাকার ভান্ডার পরিপুর্ন

আনজানা ডালিয়া


কে বলে আমার কিছু নেই?
আমার না থাকার গল্পটা পরিপুর্ন।
প্রতিক্ষনে যে নিঃশ্বাস নিচ্ছি
তাতো তারই দান।
বিশাল আকাশটা ঐ
যার নকলে মনটা আমার গড়া
তাও যে তারি দেয়া।
সাগরের ঢেউয়ে নিজেকে খোঁজা,
চাঁদের সাথে মিতালী,
পাহাড়ের অলিন্দে ঘুমানো,
বর্ষার লগ্নে সব কষ্ট ধুয়ে নেয়া,
সবইতো তার দেয়া।
আমার থাকার গল্পটা অন্যরকম
মেঘে ঢাকা।

Thursday, December 21, 2017

প্রশ্নহীন উত্তর

প্রশ্নহীন উত্তর

আনজানা ডালিয়া



বকুল ঝরা শান বাঁধানো ঘাট,
পাশে শিউলি ঝরা চাদর বিছানো,
গোলাপ ঝোপের নিচে দুটো রাজহাঁস।
ওরা প্রেমে মত্ত,
তাতেই বুঝলাম ওরা একে অপরের।
চাঁদের উজ্জল আলো টাও সেদিন অকৃপন আলো দিয়েছিলো।
বকুল, শিউলি,চাঁদ,রাজহাঁস,তুমি আমি এক সুতোঁয় গাঁথা ছিলাম।
দেখো আজ আবার সে চাঁদ টা বেড়াতে এসেছে
আমার আঙিনায়।
সুঁতোর বাঁধন একপাশে কাটা,
তুমি নেই
চাঁদটা বারবার জানতে চেয়ে মুখ ভার করে বললো
কোথায় ফেলে 
এগিয়ে এলে?
আমি নিশ্চুপ।
প্রশ্নহীন উত্তর।

একাবলী

এম.এ হান্নান


সৎ পথে থাকা খুব কঠিন
জলভাতে যাচ্ছে "এ" রাত্রিদিন। 
অপথে কি সুখ? সবাই সুখী?
তবুও পথিক; আগুনে ঝুঁকি।

সরল সু-পথে সাদা জীবন
কেউ পর হয়; কেউ অাপন।
======
(নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র)

Tuesday, December 19, 2017

মৃত্যু

::শাহরিমা তাবাসসুম::

-
মেয়েটা আজকেও এসেছে। পড়নে সাধারণ একটা সুতির শাড়ি,মাথার চুলগুলো আলগোছে একটা খোপা করে পেছনে নিয়ে বাঁধা,হাতে সরু ব্যাল্টের চামড়ার একটা ঘড়ি।প্রতিবারই একইরকম দেখতে।কোনো সাজসজ্জা নেই। মেয়েটা ইতস্তত পায়ে ভিতরে আসে।হেসে সালাম দেয়। তারপরের ঘটনাটা দোকানিটার জানা।মেয়েটা কাচের চুড়ি, কানের দুল এটাসেটা নেড়েচেড়ে দেখে শেষে এসে কাচের বাক্সে রাখা নূপুরগুলোর কাছে এসে থামবে। কখনো হাতে নিয়ে দেখে না। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। 
আলোকোজ্জ্বল কাচের ভিতরে থাকা ঝিকমিক করতে থাকা নূপুরগুলো দেখতে দেখতে বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস আসে শায়েলার।বুকের গহিনে থাকা স্বপ্নগুলো বিষ বাষ্পের মতো পাক খেতে থাকে। কষ্টের ছাপটা মুখে এসে পড়ার আগে ও হেসে হাতের কাছে থাকা এক জোড়া কানের দুল নিয়ে বলে বাহ্! সুন্দরতো।দাম কত এটার? দোকানিটা হাসে।জানে মেয়েটা এই দুল জোড়া কিনবে না।তারপরও দাম জানায়।মেয়েটা খানিক ইতস্তত করে দুল জোড়া রেখে দিয়ে পাঁচ টাকার এক পাতা চুলের ক্লিপ নিয়ে দাম চুকিয়ে বেরিয়ে যায় । মেয়েটা এপর্যন্ত কয় পাতা চুলের ক্লিপ নিয়ে গেছে?-ভাবতে গিয়ে কপালটা একটু কুঁচকে আসে দোকানিটার।বয়স হয়েছে।আগের মতো এত স্পষ্টভাবে আর সবকিছু মনে রাখতে পারেন না এখন।মেয়েটা প্রায় দুই বছরের মতো এই পাড়ার প্রাইমারিতে শিক্ষকতা করে।তারপর থেকেই তার দোকানে আসে।মাস দেড় মাসে একবার।মেয়েটার চেহারার সাথে নিলুফারের চেহারার অনেকটা মিল।নিলুফার মারা গেছে আজ দশ বছর।বিড়বিড় করে বলেন মেয়েটা এসে নিলুর কথাটা খুব বেশি মনে করিয়ে দেয়।  একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন উনি।

স্কুল ছুটি হয় চারটায়।দোকানে এসে অনেকখানি সময় নষ্ট করে ফেলেছি আজ।দোকানটা স্কুল থেকে বেশ খানিকটা দূরে।বাড়ি ফিরতে গেলে আবার উল্টো পথে হেঁটে আসতে হয়। সন্ধ্যা নেমে গেছে।হিম হিম শীত।শায়েলা মনে মনে বলে ইশশ! চাদরটা সকালে গায়ে জড়িয়ে আসলে ভালো হতো।ও দ্রুত হাঁটে।এই নৈঃশব্দ্য অন্ধকার ওর ভালো লাগছে না।হঠাৎ করে বুকের ভেতর কেমন হাহাকার করে ওঠে ওর।শিশির বিন্দুর মতো জল জমতে থাকে চোখে।হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছে।আমার দ্রুত বাসায় পৌঁছানো দরকার..  মনেমনে ভাবে ও।ওখানে আলো আছে।পথের কিনারায় থাকা দিঘির কাছটায় এসে একটু থমকে দাঁড়ায়।মন খারাপ করে দেয়া কেমন বিষণ্ন কালো জল! ওর চলে যাওয়া উচিৎ। সম্মোহিতের মত তবুও দাঁড়িয়ে থাকে।আচমকাই ও আবিষ্কার করে ওর চোখ থেকে বৃষ্টির মতো জল পড়ছে।ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে ও। বহু বছর আগে এক আলোকোজ্জ্বল সন্ধ্যায় প্রচন্ড অভিমান নিয়ে ও ধ্রুবকে বলেছিল আগুন ভয় লাগে আমার।আমি জলে ডুবেই মারা যাব।ধ্রুব খানিক চুপ থেকে ফিসফিস করে বলেছিল আমাকে ছাড়া ডুবতে পারবি তুই!কী এক অপার্থিব শান্তি তখন ঘিরে ধরেছিল ওকে।ও শব্দ করে কেঁদে ওঠে।এই নৈঃশব্দ্য 
অন্ধকারে দিঘির কালো জল আর কুয়াশা সেই কান্নার শব্দ গিলে খায়।
 দিঘির পাড়ে লাগানো ডালপালা ছড়ানো তেঁতুল গাছটার মাঝামাঝি একটা ডালে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা আরো একজন প্রথম থেকেই এই দৃশ্যটা দেখছে।প্রচন্ড বিরক্তিতে মানুষের ছা টার দিকে তাকিয়ে আছে জুম্মেকা।মানুষজন ওর একদম পছন্দ না।এই রাতের বেলায়ও একটু নিরিবিলিতে থাকতে দিচ্ছে না।প্রচন্ড আক্রোশে নিজের মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলে ও। তবুও রাগ কমে না।মানুষের সাথে ঝামেলায় জড়াতে চায় না ওরা।আগের আস্তানাটাও ছেড়ে আসতে হয়েছে এই হতচ্ছাড়া মানুষদের জন্য।একজনের ঘাড় মটকে দিয়েছিল ও।মানুষগুলো ওঝা দিয়ে তাড়িয়েছে ওকে।দাঁত মুখ খিঁচে দিঘির পাড়ে বসে থাকা মেয়েটাকে মানুষের বাচ্চা বলে একটা গালি দেয় ও। আর কিছুক্ষণ দেখবে। এরমধ্যে যদি না যায় মানুষের ছা টার ঘাড় মটকে দেবে ও।

দায়বদ্ধতা


--------------

    এম.এ হান্নান


দায়বদ্ধতায়
পড়ে অাছি__,
যোগসূত্র দিনযাপন।

অন্য চাওয়ায়
বিধ্বস্ত করেছে বাস্তবতা,
অাত্মায় অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা।

কথাগ্রন্থে অপূর্ণরূপ
অালোর সাথে অভিনয়,
অন্ধকার তোকে খুব ভালোবাসি।
===০===
নিজামপুর
১৮/১২/১৭ ইং

Sunday, December 17, 2017

আমার মতো আমি


- তানজিনা আক্তার

(পরীক্ষার্থী, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়)

এলোমেলো স্বপ্ন নিয়ে
দিনটা আমার কাটে,
সুযোগ পেলে ছুটে যাই
ছটকু মামার ঘাটে।

ঘাটে মজার দৃশ্যাবলী
একলা বসে চাই,
লোকে ভাবে আমায় বুঝি
পাইলো ভুতে ভাই।

নানা লোকের নানা কথা
 চুপটি করে শুনি,
আমি তবু আমার মত
নতুন স্বপ্ন বুনি।

আশ্রয়

আশ্রয়

এম.এ হান্নান



ঝাঁপিয়ে দাঁড়াই
উর্বর মাটির বুকে।

কখনও জল ছিল
আবার জমবে,
সূর্যরশ্মিতে দেখবো
প্রফুল্ল মুখ।

শুকনো ঘাস;
ঝরাপাতার পাশে
একটু আশ্রয় চাই_

এই বর্ষায়। বা অন্য ঋতু।
শুষ্কতায়
নিমগ্ন হব শাপলার জলে।


(নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র
মীরসরাই থানা- চট্টগ্রাম।)

লজ্জাবতীর গাছ

লজ্জাবতীর গাছ

-সৈয়দ আজমল হোসেন


গুল্ম জাতের উদ্ভিদ এটি
লজ্জাবতীর গাছ,
স্বদেশ হতে বিলুপ্ত প্রায়
হয়না করা চাষ।

আপন মনে বাড়ছে এটি
পথের বাকে বাকে,
চলার পথে পড়লে চোখ
স্পন্দন জাগে বুকে।

গোলাপি রঙ্গে ফুটছে রোজ
লজ্জাবতীর ফুল,
হয়তো খুকি দেখছে আর
হাসছে খিল খিল।

লজ্জাবতীর লজ্জা বড়ই
হালকা দিলে নাড়া,
হকচকিয়ে হুড়মুড়িয়ে
পাতায় লাগে জোড়া।

সম্পাদকীয়

মিরসরাই ভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন হিসেবে মিরসরাই লিটারেচার ওয়েবের যাত্রা শুরু। এখানে প্রকাশিত হবে মিরসরাইয়ের লেখকদের গল্প, কবিতা, ছড়া উপন্যাস সহ সৃষ্টিশীল কর্মগুলো।
সম্পাদনায়ঃ
সৈয়দ আজমল

সাহিত্য পাতা

কবিতা

ডায়েরির পাতায় তুমি ইমরান হোসেন রিয়াদ নিস্তব্ধ রাতে বসে আছি পড়ার টেবিলে হাতে তোমার ডায়েরি টা। বাহিরে আকাশের দিকে তাকালাম আকাশ...